গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের স্থানীয় পত্রিকা এবং অনলাইনসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘উখিয়ার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলায় পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় সহ ২০ জন ছাত্র আহত’ শীর্ষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে উল্লেখিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে- সরকারিভাবে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক গ্রীষ্মকালীন ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে সোনারপাড়া দাখিল মাদ্রাসা এবং পালং উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ম্যাচেই প্রথমার্ধে সোনারপাড়া দাখিল মাদ্রাসাকে দুটি গোল দেয় পালং উচ্চ বিদ্যালয়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোলই পরিশোধ করে সোনারপাড়া দাখিল মাদ্রাসা। গোল শোধ করার পর থেকে পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা সোনারপাড়া দাখিল মাদ্রাসার খেলোয়াড়দের ইচ্ছা করে ফাউল করতে থাকে। এতে স্কুলের কয়েকজন খেলোয়াড়কে কার্ড দেয় রেফারী। ফাউলে সোনারপাড়া দাখিল মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্র খেলায় আহত হয়েছে। পরে ট্রাইব্রেকারে ১ গোলে পরাজিত হয় পালং উচ্চ বিদ্যালয়। রেফারি সোনারপাড়া দাখিল মাদ্রাসাকে জয়ী ঘোষণা করলে ক্ষেপে যায় পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়সহ শিক্ষক ও খেলা দেখতে আসা ছাত্ররা। জয় নিলে মাঠ ত্যাগ করে সোনারপাড়া দাখিল মাদ্রাসার খেলোয়াড়রা। এদিকে, পরাজিত দল পালং উচ্চ বিদ্যালয়ে খেলোয়াড় ও উৎশৃংখল শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে রেফারীকে মারতে যায়। তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যায় টুর্নামেন্টের আহ্বায়ক সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ। এতে তারা স্কুল শিক্ষকদের সাথে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। শিক্ষকদের সাথে পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমন উদ্ধ্যত্বপুর্ণ আচরণ দেখে ক্ষেপে যায় মাঠে অবস্থান করা সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা এগিয়ে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাদের ছাত্রদের দমিয়ে রেখে পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিরাপত্তা দিয়ে সোনারপাড়া বাজারে পৌছে দেয়। পরে পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা সোনারপাড়া থেকে নিরাপদে কোটবাজারে অবস্থান নিয়ে সেখানে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর করে এবং খুঁজে খুঁজে সোনারপাড়ার এলাকার বেশ কিছু লোকজন ও গাড়ি চালকদের ব্যাপক মারধর করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেও একইভাবে কোটাবাজারে সোনারপাড়ার লোকজনকে ধরে ধরে পেটায় পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের উৎশৃংখল শিক্ষার্থীরা। এতে আতঙ্কে কোটবাজার যেতে পারছে না সোনারপাড়ার সাধারণ মানুষ। সোনারপাড়ার লোকজনের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আবারো প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং উক্ত সংবাদে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রতিবাদকারীঃ সোনারপাড়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি।